Published: / Times Read
ফেনীতে জরায়ু অপারেশন করতে গিয়ে নাড়িভুঁড়ি কেটে পেলায় অপারেশন পরবর্তী রোগী মৃত্যুর অভিযোগ। এ ঘটনায় রোগীর ভাই আমির হোসেন বাদী হয়ে, গতকাল ৩ মার্চ ফেনী সিভিল সার্জন বরাবরে ডা: মাহবুবা খানমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দাগনভূঞা উপজেলার মধ্যম চন্ডিপুর নয়াপাড়া গ্রামের পারুল আক্তার (৪৫) জরায়ু সমস্যা নিয়ে ভাইটাল ইউনিট ১ এ গাইনী চিকিৎসক ডা: মাহবুবা খানমের চিকিৎসা নিতে যায়। তার পরামর্শ ক্রমে অপারেশন করার জন্য ফেনী আলকেমী হাসপাতালে ভর্তি হন। গত ২০ ফেব্রুয়ারি ডা. মাহবুবা খানম তার অপারেশন করেন। অপারেশনের দুইদিন পর রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আলকোমী হাসপাতাল কতৃপক্ষ রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডা. দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, আগের চিকিৎসক অপারেশন করার সময় অসাবধানতা বসত রোগীর নাড়িভুঁড়ি কেটে পেলে, এতে মল শরীরের ভেতরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। যার কারনে শরীরে জীবাণু ঢুকে ইনফেকশন তৈরি হয়। এজন্য আবার অপারেশন করে মল বের হওয়ার জায়গা বন্ধ করতে হবে, তবে এ অপারেশনে রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম। রোগীর স্বজনদের সবকিছু বুজিয়ে বলি এবং তারা অপারেশনের অনুমতি দেয়ার পর, গত রবিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) পূনরায় অপারেশন করার পর রোগী মারা যায়।
রোগীর ভাই আমির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ডা. মাহবুবা ও তার সহযোগীরা আমার বোনের জরায়ু অপারেশন করতে গিয়ে তার নাড়ি-ভূড়ি কেটে পেলে এবং আমার বোনের অবস্থা খারাপ দেখে দায় এড়ানোর জন্য কুমিল্লাতে পা
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে ডা. মাহবুবা খানম বলেন, অপারেশন হওয়ার দুইদিন পরে সমস্যা দেখা দিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য আমরা রোগীকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাই। রোগীর অপারেশন সফলভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। ইনফেকশন জনিত কারনে রোগীর মৃত্যু হতে পারে, কোন ডাক্তারই চায় না তার রোগী মারা যাক। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পুর্ন ভিত্তিহীন। কারন রোগী যদি আমার অপারেশন টেবিলে মারা যেত তাহলে হয়ত আমার দায় থাকত।
ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. শিহাব উদ্দিন অভিযোগ গ্রহণ করে বলেন, দুই দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তদন্তপূর্বক দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।